ব‍্যবসায়ী সমিতির আবেদন মেনে পরিবর্তন হল বর্ধমান শহরে দোকান খোলা ও বন্ধের সময়সীমা

22nd August 2020 6:50 pm বর্ধমান
ব‍্যবসায়ী সমিতির আবেদন মেনে পরিবর্তন হল বর্ধমান শহরে দোকান খোলা ও বন্ধের সময়সীমা


দেবাশীষ ঘোষ ( বর্ধমান ) : বর্ধমান জেলা ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে পুর্ব বর্ধমান  জেলা শাসকের নিকট  আবেদন করা হয় যে রবিবার গুলি বন্ধ থাকছে সেগুলি  খুলে দেওয়ার জন্য । বর্ধমানের ব্যবসায়ীরাও সুরক্ষা সমিতি এই আবেদন কে সহমত জানিয়েছেন । ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন রবিবার সমস্ত অফিস বন্ধ থাকার ফলে ক্রেতাদের কেনাকাটা করা সুযোগ থাকে । ফলে রবিবার বেচাকেনা ভালোই হয়। সেই জন্য রবিবার খোলা থাকলে ব্যবসায়ীদের পক্ষ সুবিধা। ব্যবসায়ী সু্রক্ষা সমিতির আবেদনে সাড়া দিয়ে পূর্ব বর্ধমান  জেলাশাসক বিজয় ভারতী নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছেন আগামী ৩০ শে আগষ্ট ত রবিবার  খোলা থাকবে সমস্ত দোকান । এর পাশাপাশি  ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল দোকান খোলা এবং বন্ধ করার সময়সীমা বর্ধিত করার জন্য । সে বিষয়েও জেলাশাসক বেশকিছু দোকান খোলার সময় বর্ধিত করেছেন  । 
হোলসেল মাছ , সবজি  ও  ফলের বাজার খোলা থাকবে ভোর ৪ থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত । খুচরো মাছ ও সবজি বাজার খোলা থাকছে সকাল ৭টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত। রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন বাজার খোলা থাকবে  সকাল  ৮টা থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত। ফুলের দোকান খোলা থাকছে  সকাল ৭ টা থেকে বেলা ১২ টা  পর্যন্ত। ফলের দোকান সকাল ১০ টা থেকে ৫ টা ,  মুদিখানার দোকান খোলা থাকবে  সকাল ৭ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত। চায়ের দোকান খোলা থাকবে ভোর ৪ টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত । অন্যান্য দোকান খোলার সময়সূচী  থাকছে বেলা ১২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত। হোলসেল বেকারি খোলা থাকবে ভোর ৫ টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।